জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় রেখে উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার খুলনার কপিলমুনি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি তুলে ধরা হয়।

সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রশিদুজ্জামান, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যাপক রেজাউল করিম খোকন, নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত মণ্ডল, হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার মোজাফ্ফর হোসেন, নাগরিক নেতা আব্দুল মজিদ, প্রত্যাশা সমবায় সমিতির বিদ্যুৎ বিশ্বাস, অনির্বাণ লাইব্রেরির প্রভাত দেবনাথ, অধ্যক্ষ মো. শিমুল বিল্লাহ বাপ্পি, মঈনুদ্দিন হাজরা, জগদীশ চন্দ্র দে, প্রদীপ দত্ত, কিনু পাল, রবীন মণ্ডল প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যতই সংস্কার করা হোক না কেন, ৬০ দশকে তৈরি করা আয়তনে ছোট উপকূলীয় বেড়িবাঁধ কোন ভাবেই ওই অঞ্চলকে সুরক্ষা দিতে পারবে না। তাই দ্রুত জলবাযু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগকে বিবেচনায় রেখে নতুন পরিকল্পনায় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। বক্তারা উপকূলের বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের আওতায় একটি জরুরী তহবিল গঠন করতে হবে। বাঁধ ব্যস্থাপনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সুপেয় পানি প্রাপ্তির জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

News Link: songkalpo.net