জলবায়ু পরিবর্তনের রিরুপ প্রভাব থেকে উপকূল অঞ্চলকে রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এই দাবিতে তারা আজ শুক্রবার খুলনা-সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ওইসব কর্মসূচীতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চল তথা সারাবিশ্বের উন্নয়নের সকল পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে। উন্নত দেশগুলি গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশ কোন ভূমিকা না রেখেও বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা ও ক্লাইমেট জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্য সুইডেনের স্কুল ছাত্রী প্রতিবাদী শিশু অগ্নিকন্যা গ্রেটা থানবার্গ এর ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার, সারাবিশ্বের সাধারণ জনগণ, যুব ও স্কুল ছাত্ররা জনসমাবেশ, র‌্যালী, মানববন্ধন ও পথসভা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, সাতক্ষীরা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম, শ্যামনগর জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরাম আয়োজিত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক মানবেন্দ্র দেবনাথ, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, শিক্ষক রনজিৎ বর্মন, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান ও আবু সাঈদ, উপজেলা যুব ফোরামের সভাপতি মোমিনুর রহমান, স্বর্ণ কিশোরী ঐশ্বর্য্য কর্মকার প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা উপকূলে বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলের জীবন-জীবিকা নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই ক্ষয়ক্ষতির চিত্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে না পারলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়তে হবে। তাই সকলকে এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করতে হবে। সরকারকে এই অঞ্চলের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

একই দাবিতে অনুরুপ কর্মসূচী সাতক্ষীরা জেলা সদর, কালিগঞ্জ ও আশাশুনি, খুলনা জেলা সদর ও কয়রা এবং বাগেরহাট ও মোংলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

News Link: kalerkantho.com and jaijaidinbd.com